জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি বিএনপি জোট সরকারের সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩১ মার্চ) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি বেশ কিছুদিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর।
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (মটরগাড়ী প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত হন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নানা কারণে মন্ত্রিত্বের পদে বেশিদিন থাকা হয়নি। এরপর তিনি এরশাদ সরকারের শেষদিন পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর মুফতি ওয়াক্কাস আবার সক্রিয় হন জমিয়তের রাজনীতিতে। পরে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন।
মুফতি ওয়াক্কাস ২০২০ সালের শেষ দিকেও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তবে কওমি মাদরাসাভিত্তিক এই সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলনে প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর অনুসারীদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে কমিটি গঠন করায় নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে হেফাজত ছাড়েন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নিজের নির্বাচনী এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেন তিনি।
জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান জানান, জানাজা শেষে আজ বাদ মাগরিব মুফতি ওয়াক্কাসের গ্রামের বাড়ি যশোর মনিরামপুরে তাকে সমাহিত করা হবে। মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান জানান, যশোরের মনিরামপুরে মুফতি ওয়াক্কাসের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার জানাজা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম