জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯ থেকে রবিবার (২ আগষ্ট ) সকাল ৯ টার মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তারা চারজন মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শারসা গ্রামের অনিলকৃষ্ণ দাসের ছেলে রাধাপদ দাস (৫৫), একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ওজিহার সরদারের স্ত্রী আরিফা খাতুন (৩৫) ও মাগুরা বারুইপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক (৫০) এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালী ওবায়দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত মাদার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৬৫)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মানস কুমার মন্ডল জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন তালার শারসা গ্রামের রাধাপদ দাস। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মারা যান। একইভাবে করোনার উপসর্গ নিয়ে একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আরিফা খাতুন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সামেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তিনিও মারা যান। মৃত দুই ব্যক্তিরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে পহেলা আগষ্ট শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সামেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন তালার বারুইপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ জুলাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন কালিগঞ্জের ভদ্রখালী ওবায়দুল্লাহপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ আগষ্ট রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনও তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়ি।
এ নিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে ২ অগষ্ট রবিবার পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৫০ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২২ জন।
খুলনা গেজেট / এমএম