খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার ৭ সাক্ষীকে জেরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সাতজন সাক্ষীকে জেরা করেছে আসামীক্ষের আইনজীবীরা। এ ছাড়া মামলার বাদির পুনরায় সাক্ষীর আবেদন প্রত্যাহার করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে এনিয়ে মামলায় এ পর্যন্ত ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষ হলো। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ ছাড়া মামলায় সাজা হতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রধান আসামী সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বিদেশে পালাতে পারেন এমন আশঙ্কা করে রাষ্ট্রপক্ষ রায় না হওয়া পর্যন্ত তার পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

সোমবার আদালতে যাদের জেরা করা হয় তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, শেখ হাসিনার ক্যামেরা পার্সন শহীদুল ইসলাম জীবন, বাস চালক মোঃ নজিবুল্লাহ, সৈনিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিব, দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহম্মেদ ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারি এটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অ্যাড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গনি, অ্যাড. ইউনুস আলী, অ্যাড. মোজাহার হোসেন কান্টু, অ্যাড. আজাহার হোসেন প্রমুখ।

আসামীপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন বাংলাদেশ হাইকোর্টের অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত  ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

খুলনা গেজেট/এ হোসেন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!