করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে সাতক্ষীরার প্রশাসন। জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী বাইসাইকেল র্যালী ও নো মাস্ক নো সার্ভিস লেখা সম্বলিত স্টিকার লাগানো কার্যক্রম শুরু হয়েছে দোকানে দোকানে। সোমবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালীতে অংশ নেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
র্যালী শুরুর প্রাক্কালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই বাইসাইকেলে প্রচারণার মধ্য দিয়ে শহর ও উপজেলার প্রত্যেকটি দোকানে দোকানে নো মাস্ক নো সার্ভিস, আমার মাস্ক আমার সুরক্ষা লেখা সম্বলিত স্টিকার লাগানো শুরু হয়েছে। কোন দোকানে মাস্ক ছাড়া ক্রেতা গেলে ক্রয় বিক্রয় হবে না। একটি সিসটেমেটিক উন্নতি এটা আমরা শুরু করেছি। এটিকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে কোভিড পরিস্থিতিকে আমরা সহজভাবে মোকাবেলা করতে পারবো।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, আজ ৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। করোনা পরিস্থিতিতে এই দিবসটিকে বৃহৎ পরিসরে উৎযাপনের সুযোগ এখন নেই। ব্যতিক্রমী আয়োজনে সাইকেল র্যালীর মধ্য দিয়ে করোনা সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হলো। এখন থেকে প্রত্যেকটি দোকানদারকে নো মাস্ক নো সার্ভিসের আওতায় আনা হচ্ছে। যদি মাস্ক ছাড়া কেউ কোন পন্য ক্রয় বিক্রয় করে তবে উভয়ের বিরুদ্ধেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন