“সাংস্কৃতিক মহত্ব প্রকাশ পায় উৎসবের মাধ্যমে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় সাতক্ষীরায় শেষ হয়েছে দুইদিন ব্যাপী আবহমান বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব ১৪২৯। মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা আর নির্ভেজাল দেশ প্রেমের আহ্বানই ছিল এ সাংস্কৃতিক উৎসবের লক্ষ্য।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সংগঠনের সভাপতি নাসরীন খান লিপির সভাপতিত্বে আবহমান বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ভারতের সভাপতি স্বাতী দাস, সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার, বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ খুলনার সভাপতি এনামুল হক বাচ্চু, বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ ঢাকার সভাপতি প্রনবকে মুখার্জী, বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী প্রমুখ।
বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক দু’দিনের এ সাংস্কৃতিক আয়োজনের সমাপনি অনুষ্ঠানের রাতে সাতক্ষীরার শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর প্রাণের আবেগ লক্ষ্য করা যায়। কানায় কানায় ভরে উঠেছিল শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সবুজ চত্ত্বর। দেশত্ববোধক গানে ফুটে উঠেছিল মা-মাটি ও মানুষের কথা। গণসংগীতের আবেশে ছিল শেকল ছেড়ার আহ্বান। মহান বিজয়ের মাসে জয়োল্লাসে জাগ্রত বাংলাদেশ। সংগীতের সুর, কবিতার ছন্দ আর নৃত্যের তালে তুলে ধরা হয় গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্য।
উৎসবে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, নদীয়া, ত্রিপুরা ও কলকাতার মোট ৫২জন সংগীত, নাটক, বাচিক ও নৃত্য শিল্পী, রাজধানী ঢাকার ৩০জন শিল্পী ও খুলনার ৩০জন শিল্পীসহ সাতক্ষীরার শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারি শিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এম. আর ওয়াসেক ও ফারহানা চৌধুরী বেবী নৃত্যশিল্পী, বাংলাদেশ, সুদেষ্ণা রায় চিত্র পরিচালক, ভারত, পাপিয়া অধিকারী অভিনেত্রী, অনুশীলক বসু অভিনেত্রী ও সংগঠক,ভারত, অনিক বোস নৃত্যশিল্পী, ভারত, দেবযানী মালা সংগীত শিল্পী,ভারত, স্বাতী বানার্জী দাস নৃত্যশিল্পী, ভারত, আশিস সরকার বাচিক শিল্পী, ভারত, প্রণব মুজমদার সুরকার ও গীতিকার, বাংলাদেশ, অলক দাস, বাচিক শিল্পী, ভারত, বলরাম মাঝি সংগঠক, ভারতসহ শতাধিক শিল্পী, সংগঠক, চিত্র পরিচালক, সুরকার, গীতিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন ও বিশ্বমৈত্রী সাংস্কৃতিক পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে শুরু হওয়া এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে। সমাপনি অনুষ্ঠানে অতিথিগণ শিল্পীদের মাঝে সম্মাননা, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে দলীয় ও একক নৃত্য, গীতি নৃত্যালেখ্য, সমবেত ও একক সংগীত, দলীয় আবৃত্তির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড