সাতক্ষীরা পৌরসভার বদ্দিপুর, কাটিয়া মাঠপাড়া, রসুলপুর ও ইটাগাছা পশ্চিমপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, প্রতিবছরই এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং তা ক্রমেই বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে। এবছর পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এইসব এলাকার অনেকেই ঘরের মধ্যে দীর্ঘদিন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। মানুষের রান্না-খাওয়া, পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এমনকি বদ্দিপুর কলোনী এলাকায় মৃত মানুষের দাফন-কাফনেরও কোন জায়গা নেই। পরিস্থিতির নিরসনে অন্য বছর পৌরসভা, জেলা প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষের কিছু উদ্যোগ পরিলক্ষিত হলেও এবার তাও অনুপুস্থিত। ফলে মানুষের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকায় পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা অপসারণ ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে যে সমস্থ মাছের ঘের গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ এবং তাৎক্ষণিক পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বদ্দিপুর, কাটিয়া মাঠপাড়া, রসুলপুর, মাগুরা বৌবাজার সহ অন্যান্য এলাকায় স্যালো মেশিনের দ্বারা পানি সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা কবলিত উপকূলীয় এলাকা রক্ষার জন্য পৃথক বোর্ড গঠনসহ জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থানসহ প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মরকলিপি পেশ কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ সেপ্টেম্বর পূনঃনির্ধারণ করা হয়। একইসাথে গণস্বাক্ষরসহ উক্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরেরর মানুষের প্রতি আহবান জানানো হয়।
নাগরিক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জিএম মনিরুজ্জামান, অপারেশ পাল, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কমরেড আবুল হোসেন, মুনসুর রহমান, কওসার আলী, আব্দুস সামাদ, আলী নুর খান বাবলু, সুরেশ পান্ডে, আসাদুজ্জামান লাভলু, অধ্যাপক তপন কুমার শীল, মোশারফ হোসেন, মোঃ আব্দুর রশিদ. লুৎফর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আলমগীর হোসেন মনু, রবিউল ইসলাম, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমআর