সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের এক গ্রাম পুলিশের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া রাস্তার সরকারী ইট উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঠিকাদারের শ্রমিকরা গোপনে খবর পেয়ে চুরি হওয়া প্রায় ৬ হাজার ইট শিয়ালডাঙা গ্রামের আবু তালেবের ছেলে ও শিবপুর ইউপি ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ ফারুক হোসেনের বাড়ির থেকে উদ্ধার করে।
ঠিকাদারের ম্যানেজার রেজাউল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা মাঠপাড়া হতে ঝিটকা রাস্তাটি ইটের সোলিং করা ছিল। রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার পূনঃপাকাকরণের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। এই রাস্তাটি সোলিংয়ের কাজ পায় সিরাজ সরদার নামের একজন ঠিকাদার। পুরাতন রাস্তার ইট সলভেজ হিসাবে ধরা ছিল। রাস্তাটি পূনঃপাকা করনের জন্য আগে থেকে ওই রাস্তার সোলিংয়ের ইট তুলে রাস্তার ধারে রাখা হয়। একপর্যায়ে রাস্তার ধারে তুলে রাখা কয়েক হাজার ইট রাতে চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বৃতরা।
বেশকয়েকদিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর ২৮ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠিকাদার জানতে পারেন যে, চুরি যাওয়া ওই ইট শিবপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের বাড়িতে রয়েছে। এসময় ওই গ্রাম পুলিশের বাড়ির ঘোয়াল ঘর, গবরগাদা, একটি অস্থায়ী ঘর ও মাঠের একটি বাগানের জমি থেকে প্রায় ছয় হাজার ইট উদ্ধার করে শ্রমিকরা। একই সাথে ওই এলাকার সাত্তার আলী গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমান ও জনৈক আব্দুল হাকিমের বাড়ি থেকে আরো প্রায় এক হাজার ইট উদ্ধার করা হয়।
রাস্তার ঠিকাদার সিরাজ সরদার বলেন, ওই রাস্তার কাজ শুরু করার পর্বে পূর্বের সোলিংয়ের পুরাতন ইটগুলো তুুুলে রাস্তার ধারে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে অনুমান ১০ হাজার ইট দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে আমার ম্যানেজার রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে আমি জানতে পারি শিয়ালডাঙ্গার ওই রাস্তা থেকে চুুুরি হওয়া সরকারি ইট ওই এলাকার গ্রাম পুলিশের বাড়িতেসহ কয়েকজনের বাড়িতে পাওয়া গেছে। এখন ইটের দাম চড়া। অথচ বরাদ্দ বাজেটে ইটের দাম ধরা কম। তারপরও লাভের দিকে না তাগিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কাজের মধ্যে রাস্তা থেকে যদি ইট এই ভাবে চুরি হয় যায় তাহলে আমরা কিভাবে কাজ করবো।
এবিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছ্ ি তদন্তপূর্বক দোষীদেও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।