সাতক্ষীরায় ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন এক মাছ চোর। শনিবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাত ২টার দিকে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কদমখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের সহায়তায় মুচলেকা নিয়ে চোরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আটক মাছ চোর হলো, সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের আবুল মোড়লের ছেলে মোঃ আকরাম মোড়ল।
কুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল জানান, আকরাম মোড়ল একজন পেশাদার মাছ চোর। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সে দেবহাটা উপজেলার কদমখালী গ্রামের মৃত আনোয়ার মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন মোল্যার মাছের ঘেরে মাছ চুরি করতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘের মালিক মোশারফ হোসেন শনিবার ভোর রাত ২টার দিকে আকরাম মোড়লকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এসময় গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন আকরাম। এসময় সে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ঘের মালিকদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। ভোর রাতে দেবহাটা থানা থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হলে সকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আকরাম মাছ চুরির বিষয়টি নিজে স্বীকার করে আজ থেকে এধরণের কাজ আর করবে না এবং সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঘের এলাকায় ঘোরাফেরা করবে না মর্মে অঙ্গীকার নাম দিলে শনিবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঘের মালিকের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি আরো জানান ঘের মালিক ও চোর সর্ম্পকে জামাই শশুর।
সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক সোভন দাস জানান, আটক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে জানায়, তাকে ধরে এনে মারপিট করা হচ্ছে। তাকে উদ্ধার করতে হবে। থানা থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহিদুর রহমান জুয়েল সাহেবকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরে জানা যায়, সে ঘরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে ফোন করেছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই