সাতক্ষীরায় কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারলেও গুরুতর জখম হয়েছে দুই শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কাটিয়া হেকিম সাহেবের খানকা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষার্থী ও মুনজিতপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে রিয়াদ (১৭) এবং সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষার্থী সাজিদ (১৬)। সে দক্ষিণ কাটিয়া হুগলি বেকারী এলাকার শেখ শফিউল্লাহ’র ছেলে। তাদের গলায়, মাথায়, ঘাড়ে, পিঠে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
আহত সাজিদের বাবা শেখ শফিউল্লাহ বলেন, ছেলে আর আমি এক সাথে আছরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলে যাই। ছেলে স্কুলের বড় ভাই রিয়াদের ফোন পেয়ে রাস্তায় বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে শহরের কাটিয়া খানকা মসজিদ এলাকায় ছেলের সহপাঠী সাব্বিরকে ৭ জন বখাটে ধরে মারধর করতে দেখে আমার ছেলে রিয়াদ ওই বখাটেদেরকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করে। সাথে সাথে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি সেলাই রেঞ্জসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিয়াদ ও সাজিদ এর উপর হামালা চালিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সাত সদস্য।
তিনি আরো বলেন, হামলার সময় শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত জামালের ছেলে জয় (২০) কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেয়। ওই সময় আরও উপস্থিত থেকে মারধর করে ইটাগাছা হাটের মোড় এলাকার আরিক (২২), রেজিস্ট্রি অফিস এলাকার সুমন (২০), একই এলাকার নয়ন (২১)। শহরের সরকারপাড়া এলাকার বিষু ডাক্তারের ছেলে রাহুল (২২), মুনজিত এলাকার রিপনের ছেলে মৃদুল (২৩) ও কলেজ মোড়স্থ মোল্লা বাড়ি এলাকার সাব্বির।
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা করা হয়েছে। পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম