সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫৪ জন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার পরমান্দকাটি গ্রামের মোঃ আবদুল মান্নানের স্ত্রী হোসনেয়ারা পারভীন (৫৫) ও একই উপজেলার চরদাহ গ্রামের মৃত শেখ কওছার আলীর ছেলে মোঃ আবদুল মালেক (৭২)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ আগষ্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৫টা ও দুপুর ১২টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত মোট ৬৬ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৬৫ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২১ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৫ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে সংক্রমনের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।এর আগের দিও শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই জন। এ সময় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৯০ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৭ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭২৬ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১২৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫১০ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৯৭ জন। জেলায় ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৫৪ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৬ হাজার ২৩৯ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৯৬১ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৪ হাজার ৩৯ জন।