সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫০ জন।
করোনা উপসর্গে মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের দরবেশ গাজীর স্ত্রী দুলমতি বিবি (৮০) ও কলারোয়া উপজেলা সদরের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নুর জাহান (৫৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১সেপ্টেম্বর ও ৪ সেপ্টেম্বর তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬ টা ৪০ মিনিট ও রাত ১১ টা ২০ মিনিটের সময় তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর রোববার পর্যন্ত মোট ৯৭ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৩ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৯৪ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই জন। এ সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৪ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৪ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৯০ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ১৭ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫৪৫ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৩৩ জন। জেলায় ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৫০ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৪ হাজার ৩২৭ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৮৪২ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬২২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৮ হাজার ৫৫০ জন।