সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ আরো মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১৫ আগষ্ট রোববার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬০৩ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মোবারকনগর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব এরশাদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৬২), আশাশুনি উপজেলার পূর্ব বাঁকড়া গ্রামের জিয়ার উদ্দীনের স্ত্রী রমেছা খাতুন (৬৫) ও সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের গোলাম সাত্তারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৬০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৭জুলাই থেকে ১৫ আগষ্টের মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট রোববার ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৬ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত মোট ১৪৯ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৮ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ১৪১ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন ও সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৯ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে সংক্রমনের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৯৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপতালের মেডিকেল অফিসার ও জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেছে ৩ জন। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ৯৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, শনিবার ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৯ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩২৭ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৯১৬ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ জন। ভর্তি রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ জন রয়েছেন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৯০১ জন।
বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪৯ জন। সরকারি ও বেসরকারি মিলে জেলায় মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৮৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। জেলায় ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৬ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬০৩ জন।