সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা ও উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দীন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে মরিয়ম খাতুন নামের এক নারী বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং লায়লা বেগম নামের অপর এক বৃদ্ধা রাতে তার নিজ বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নেবাখালী জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত অজিহার রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলফাজ উদ্দীন (৭০), দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল গফফারের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৫৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের মোঃ নুরুল হকের
স্ত্রী লায়লা বেগম (৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৫ জুলাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন করোনা আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলফাজ উদ্দীন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তির পরপরই মারা যান মরিয়ম খাতুন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করেনা উপসর্গ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের লায়লা বেগম রাতে তার নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
ডাঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ৪৩ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৯ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম