সাতক্ষীরায় উচ্চমূল্য সবজি (বেগুন) চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক মাঠ দিবস বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাঠী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পিবিআরজি, এনএটিপি ফেজ-২,পিআইইউ, বিএআরসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিনা উপকেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ রোক্নূজ্জামানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ মন্জুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এআরই বিভাগ ও পিবিআরজি-০৯৮ উপ-প্রকল্প’র সহযোগী প্রধান গবেষক মোঃ আল-আরাফাত তপু, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিপন হোসেন, উপসহকারি কৃষি অফিসার মোঃ সামছুর রহমান, শেখ কামরুল হাসান, মোঃ রাইসুল ইসলাম প্রমুখ।
মাঠ দিবসে কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল খালেক ও পবিত্র মন্ডল। মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক -কৃষাণী ও কৃষি কর্মকর্তারা অংশ নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় কৃষকদের মাঝে উচ্চ মূল্যের সবজি বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি আধুনিক কলাকৌশলের মাধ্যমে চাষাবাদ করে কৃষকের আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগাম চাষাবাদের ফলে কৃষকরা অধিক মুনাফা যেমন পাচ্ছে তেমনি লবণাক্ততার প্রভাব থেকে মুক্ত হচ্ছে জমি।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের সহযোগিতার জন্য পিবিআরজি-০৯৮ উপ-প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে এসেছি। আশাকরি এই প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা লাভবান হবেন।
খুলনা গেজেট/কেএম