সাতক্ষীরায় তীব্র শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডা জনিত নানা রোগে।
এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি জানুয়ারি মাসেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১০৯ রোগী।
বেশ কিছুদিন ধরে সাতক্ষীরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও। চলতি জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই জেলার হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর-কাশি নিয়ে রোগী ভর্তি বাড়ছে। এ ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত নানা বয়সী রোগীতে ভরে উঠছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। চলতি জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালেই ২ হাজার ১০৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সদর হাসপাতালে ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন।
এছাড়া জেলার ৯টি সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। শীতের তীব্রতায় শিশু ছাড়াও নানা বয়সী রোগীরা ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে রোগীরা ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতায় যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করতে হাসপাতালের নার্স ডাক্তাররা হিমশিম খাচ্ছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি ছাড়াও বাসি খাবার খাওয়ার ফলেও রোগাক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
অভিভাবকরা জানান, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এতে বয়সী মানুষজন কিছুটা সুস্থ থাকলেও জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র পরিবারগুলো। আর্থিক দৈনতায় ওষুধ কিনতে পারছেন না অনেকে। এ অবস্থা শিশুদের রোগ এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কাশি, সর্দিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুদের গরম পরিবেশে রাখার পাশাপাশি গরম খাবার ও বেশি করে তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওযা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, জেলায় কোল্ড ডায়রিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। তিনি শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের বেশি বেশি কেয়ার নেয়ার পরামর্শ দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম