সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়া ৫ জন আসামিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সেমাবার (২৬ আগষ্ট) রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা জেল থেকে পালিয়ে এলাকায় ফিরে নতুন করে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের কেরামত গাজীর ছেলে নুরুজ্জামান গাজী (৪৪), একই উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪৪), বংশীপুর গ্রামের সামছুর গাজীর ছেলে মো. আবু সাঈদ (২৭), পাটকেলঘাটা থানার হাজরাপাড়া গ্রামের লুৎফর মোড়লের ছেলে সুলতান মোড়ল (২৬) ও সদর উপজেলার ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের আহাদ শেখের ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩২)।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে গত সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের কারারক্ষীদেরকে মারপিট করে জেল গেটের তালা ভেঙে কারাগার হতে আসামিরা পালিয়ে যায় এবং অন্যান্য আসামিদেরকে পালাতে সহায়তা করে। আসামিরা সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পেট্রোল বোমা, ককটেল, দাহ্য পদার্থ ব্যবহারসহ দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলা কারাগারের ভিতরে ভাংচুর করে, আগুন জালিয়ে দিয়ে জেলকারাগারের সকল নথিপত্রসহ বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পদ ক্ষতি সাধন করেছে এবং কারাগারের জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা কার্যক্রম করে। এই সংক্রান্তে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি নাশকতা মামলা রুজু করা হয়। উক্ত নাশকতার প্রেক্ষিতে আসামিদের প্রতি বিশেষ নজরদারী রাখে র্যাবের একটি গোয়েন্দা টিম। একই সাথে র্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরার একটি আভিযানিক দল নাশকতাকারীদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ আগস্ট আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে জেলার সদর থানা, পাটকেলঘাটা ও শ্যামনগর থানা এলাকায় জেল পলাতক ও নাশকতার মামলার এজাহার নামীয় আসামিগণ অবস্থান করছে। এসময় রাতে পৃথক অভিযানে অসামিদের স্ব স্ব এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে