খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ফরিদপুরের বাখুন্ডায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৭; আহত ৪০
  খুলনায় বাটা শো রুম এবং কেএফসি ফুড কোর্টে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৩১ জন গ্রেপ্তার
  শুল্ক কমাতে অনুরোধ জানানো দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করবে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের পোস্ট

সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আ.লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেপ্তার

গেজেট ডেস্ক

সাতক্ষীরা ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে আশাশুনির গোকুলনগরের রুলামিন নামে এক আ.লীগ কর্মীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে কোপাত বাহিনীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই পালিয়ে যায় কোপাত ও তার দলের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু এলাই ডাকাতের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর হাল ধরে ছোট ভাই কোপাত ডাকাত। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে ডাকাতি-লুটপাটের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোপাত বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা দিতেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। কোপাতকে আইনের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও বানান তিনি। জুলাই আন্দোলনের সময় জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলন মোকাবিলায় সব রকম তৎপরতায় জড়িত ছিল কোপাত বাহিনী।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নাকনা গ্রামে মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায় কোপাত বাহিনী। মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। পরে উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় জাকির নিহত হয়। তখন কোপাত বাহিনীর প্রধানসহ অন্যরা বাড়ি থেকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে মধ্যম একসরা গ্রামের খোরশেদ শিকারি, নাংলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, গোকুলনগর গ্রামের সেলিম রেজা, রেজাউল করিম সরদার ও আব্দুল্লাহ সরদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গঠন করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আশাশুনি থানায় বহু মামলা রয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে কোপাত ডাকাতি মামলায় একাধিকবার কারাগারে গেলেও দলীয় প্রভাবে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নোমান হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোপাত মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!