সাতক্ষীরায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি আড়তে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। মাত্র একদিন আগে শুক্রবার যা বিক্রি হয়েছিল ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারের কয়েকটি আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ায় মসলা জাতীয় এ পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।
বাজারের নূর ভান্ডারের মালিক আসলাম হোসেন সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। শনিবার কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে। দুদিন আগেও মরিচ বিক্রি করেছেন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। তিনি বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।
ভোমরা বন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ছোঁয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গণেশ চন্দ্র বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু এলাকায় বন্যা ও ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার বাজারেই পণ্যটির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে কয়েকদিন ধরে মরিচ আমদানিও কমেছে। আমদানি কমায় এই পণ্যটির দামও কিছুটা বেড়েছে।
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সুলতানপুর বড়বাজারের কাঁচা পাকা মাল ব্য্সায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী জানান, বাজারে যে পরিমাণ কাঁচামরিচ বিক্রি হয়, তার ৯৫ শতাংশ আসে ভোমরা বন্দরে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু গত তিন-চারদিন ভোমরা বন্দরে পণ্যটি আমদানি কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তিনি বর্তমানে ২৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মিরচ বিক্রি করছেন। তারপরও এই মরিচটা ২/৩ দিনের পুরানো। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগেও জেলার বাজারগুলোয় কাঁচামরিচের দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। বর্ষা মৌসুমে পণ্যটি অনেকটাই আমদানি নির্ভর। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বন্দরে আমদানি বাড়লে দামও কমে যাবে।
খুলনা গেজেট/এএজে