সাতক্ষীরায় আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আবু হাসান নামের এক দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোর রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে কোন এক সময় শহরের কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তার নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, বেশ কিছু সংখ্যাক মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের কয়েকটি চালান ও চেকসহ মূল্যবান জিনিস পত্র। পারিবারিক শত্রতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা এঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু হাসান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত রহিল উদ্দীনের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত আবু হাসান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ও তার লোকজন কাজ শেষে দলিল লেখার সেরেস্তাটি বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে থাকার একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটার দিকে তার কাছে একটি ফোন আসে যে তার দলিল লেখক সেরেস্তায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছেন। সেখানে সদর থানার রাতের ডিউটিরত পুলিশের একটি টিমও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই তার সেরেস্তায় থাকা নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, বেশ কিছু সংখ্যাক মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের চেক ও ট্রেজারী চালানসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তার প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তবে, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো জানান, রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ায় তার কোন শত্রুতা না থাকলেও পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা ভোর রাতের কোন এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন।
তবে, এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। তিনি এসময় বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃতঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে