সাতক্ষীরা জেলা লেডিস ক্লাব চত্ত্বরের স্টলগুলো সেজেছিল পাতা পিঠা, মাছ পিঠা, কুলি পিঠা, ফুল পিঠা, গোলাপ পিঠা, শামুক পিঠা, সরু পিঠা, চিতই পিঠা, লাভ পিঠা, জামাইবাবু পিঠা, ডিমের পিঠা, চিকেন পুলি, ফুলঝুরি, সুজির পানতোয়া, সেমাই পিঠা, পাটিসাপটা, রসের পিঠা, সবজি পিঠা, ইলিশ পিঠাসহ বাহারী নানা পদের পিঠায়। সেই সাথে এক পাশে ভাজা হচ্ছিল গরম খই, জ্বালানো হচ্ছিল খেজুরের রস, বানানো হচ্ছিল চিতই পিঠা। প্রদশর্নীর জন্য ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী চালের গুড়া তৈরির ঢেকিও।
শনিবার সন্ধ্যায় এভাবেই পিঠা-পুলিতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সাতক্ষীরা লেডিল ক্লাব আয়োজিত পিঠা উৎসবে আগত অতিথিবৃন্দ। নানা শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবটি পরিণত হয় মিলনমেলায়। সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এই উৎসব চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ‘আয়রে স্বজন সাথী, সাতঘরিয়ার পিঠায় মাতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৌষ-পার্বণে মায়ের হাতের পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খাওয়ার স্মৃতিই যেন সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শৈশবে।
সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা আক্তার গাজী প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সহধর্মিনী ও জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি লাভলী কামাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ স্ত্রী রোকসানা ইসলাম শিল্পী, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীর স্ত্রী ও লেডিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোমা দাস চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, নারী নেত্রী জ্যোৎস্না দত্তসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। পরে অতিথিগণ স্টল পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম