৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হলেও জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বীব মুক্তিযোদ্ধারা।ক্ষোভের কারণে মুক্তদিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রতিনিধিকে সভাপতিত্ব করতে দেওয়া হয়নি। সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসে কর্মসূচি পালনে জেলা প্রশাসনের উদাসিনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে র্যালী, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার মোঃ হুমায়ুন কবির কে সভাপত্বি করা কথা ছিল। কিন্তু তিনি না আসায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার(পদাধিকার বলে) ফতেমা তুজ-জোহরা সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মশু,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকী, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমন্ডের সাধারণ সম্পাদক লাইলা পারভীন সেজুতি প্রমুখ।
এসময় সেখানে সাতক্ষীরার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির আলোচনা সভায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।এবিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকী বলেন, নির্বাচন না হওয়ায় পদাধিকারবলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে তার উপস্থিত থাকা ও সভাপতিত্ব করার কথা। জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা
মোশাররফ হোসেন মশুকে বেলা সাড়ে এগারটার সময় জানিয়েছিলেন,তিনি আসবেন। অথচ তিনি আসলেন না। বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে কষ্ট দিয়েছে।
সভার প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, অন্যান্য বার সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস যেভাবে জেলা প্রশাসন সাড়ম্বরে উদযাপনের উদ্যোগ নেয়, এবার তার ঘাটতি দেখেছি। আজকে জেলা প্রশাসক ছুটি না নিলেও পারতেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমান বলেন, স্যার ছুটিতে আছেন বলে আমাকে যেতে বলেছিলেন। আমি সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস