দীর্ঘ সাত মাস পর আবার ক্যাম্পে ফিরছেন নারী ফুটবলাররা। গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যখন ঘরোয়া সব খেলাধুলা স্থগিত ঘোষণা করে তখন ক্যাম্পের মেয়েদের ছুটি দিয়ে দেয় বাফুফে। এএফসির দুটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট সামনে রেখে বাফুফে শনিবার থেকে আবার শুরু করছে মেয়েদের অনুশীলন। বৃহস্পতিবার থেকে মেয়েরা ক্যাম্পে ওঠা শুরু করবেন।
আগামী ১৩ থেকে ২১ মার্চ হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব, ৩ থেকে ১১ এপ্রিল অনূর্ধ্ব-১৭ এর বাছাই। এই দুটি টুর্নামেন্টের জন্য মেয়েদের ফুটবলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ৩৩ জন খেলোয়াড় ক্যাম্পে ডেকেছেন। এর মধ্যে অনূর্ধ্ব-২০ দলে ১৮ জন এবং অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ১৫ জন।
সিনিয়রদের আপাতত কোনো সিডিউল না থাকায় তাদের পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ক্যাম্পে ডাকা হবে। যে কারণে, সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদা, রতœা, স্বপ্না, নারগিজ, শিউলি, মৌসুমী, মাসুরা পারভীনদের ক্যাম্পে উঠতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
‘ফিফা, এএফসি এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের এই ক্যাম্প হবে। যে কারণে আমরা ৩৩ জন খেলোয়াড় ডেকেছি। বৃহস্পতিবার থেকে মেয়েরা বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে উঠবে। ১০ অক্টোবর সকাল থেকে শুরু হবে অনুশীলন। আমরা স্বাস্থ্যবিধিকে প্রাধান্য দিয়েই অনুশীলনের সব পরিকল্পনা সাজিয়েছি’- বলেছেন নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
যে ফুটবলারদের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে তাদের প্রত্যেককেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবার রেজাল্টও নেগেটিভ এসেছে। গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধিতে কোন ছাড় নেই। বাফুফের তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক মেয়ে নিজনিজ এলাকায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। সবাই নেগেটিভ ফল নিয়েই ঢাকায় আসছে। কেবল মেয়েদেরই নয়, পুরো কোচিং স্টাফ এবং বাবুর্চিদেরর করোনাপরীক্ষা করানো হয়েছে। কোচিং স্টাফ ও বাবুর্চিদের সবার ফল নেগেটিভ এসেছে।’
দুটি টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বে নিজেদের গ্রুপের আয়োজক হওয়ার আবেদন করেছে বাংলাদেশ। ‘আমরা দুটি টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এএফসিতে আবেদন করেছি। নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এএফসি আয়োজক দেশ চূড়ান্ত করবে। তখনই জানতে পারবো আমরা আয়োজক হওয়ার সুযোগ পাবো কিনা’- বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।
খুলনা গেজেট/এএমআর