সাকিব আল হাসানের চোখে আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না। নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ‘কনজারভেটিভ’ বা রক্ষণাত্মক চিকিৎসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের কাছ থেকে এ বার্তা পেয়েছেন বিসিবির চিকিৎসকরা।
বিশ্বকাপ থেকে চোখের সমস্যায় ভুগছেন সাকিব। বল দেখতে সমস্যা হওয়ায় স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না। বিশ্বকাপ-পরবর্তী সময়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখান। সর্বশেষ বিপিএল শুরুর আগে লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখালে চোখে অস্ত্রোপচারের কথা বলেন। বিশেষ করে তাঁর বাঁ চোখের রেটিনায় স্পট থাকার কারণে দৃষ্টিবিভ্রম হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসক।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সিঙ্গাপুরে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন। সেখান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আপাতত রক্ষণাত্মক চিকিৎসার পথ বেছে নেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে চোখের চিকিৎসা শেষ করে গতকাল রাতে দেশে ফেরার কথা সাকিবের। বিপিএলের সিলেট পর্ব থেকে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত সাকিবের একান্ত। বড় কোনো সমস্যা না হলে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তিনি।
বিসিবি গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাকিবের বাঁ চোখের রেটিনায় সমস্যা থাকায় দৃষ্টিবিভ্রম হচ্ছে। অর্থাৎ, দূরের বল কাছে দেখতে পান তিনি। যে কারণে শট নির্বাচনে ভুল হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসক।
২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে সাকিবের দু’বার আউট হওয়ায় সুনীল গাভাস্কার ধারাভাষ্যে বলেছিলেন, সাকিবের চোখে সমস্যা আছে। সে দূরের বল কাছে মনে করে শট খেলে আউট হচ্ছে। বয়স ৩৫ বছর হলে অনেক ক্রিকেটার এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন বলে গাভাস্কার বলেছিলেন। এক বছর পর গাভাস্কারের অনুমানই সঠিক প্রমাণিত হয়।
চোখের সমস্যায় স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছেন না তিনি। রক্ষণাত্মক চিকিৎসায় কাজ হলে চোখে অস্ত্রোপচার করাবেন না সাকিব। সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার।
খুলনা গেজেট/এনএম