আবাহনী-মোহামেডান লড়াই যেন উত্তাপ ছড়ালো বেশ। সাকিব আল হাসান একবার ভাঙলেন স্টাম্প, আরেকবার তুলে ফেললেন স্টাম্প। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে তর্কে জড়ালেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। পরে অবশ্য ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব।
আবাহনীর ম্যানেজার মাসুদ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর সাকিব এসেছিলেন আমাদের ড্রেসিংরুমে। তিনি আমাদের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। পরে দুজন বুক মিলিয়েছেন।’
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবাহনীর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে হালকাপাতলা বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আম্পয়ায়ার চাইলেই ওভার শেষ করতে পারতেন, তবে ১ বল বাকি থাকতেই উইকেট ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত জানালেন ফিল্ড আম্পয়ায়ার। তখন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সাকিব। ওই এক বল হলেই ম্যাচের ফল আসতে পারতো। ম্যাচ জিততো সাকিবের মোহামেডান।
আম্পায়ারের খেলা বন্ধের সিদ্ধান্তের পর এগিয়ে এসে ৩টি স্টাম্প উপড়ে ফেলে মাটিতে আছাড় মারেন তিনি। সেই উত্তাপ পৌঁছায় দুই দলের ড্রেসিংরুম পর্যন্ত।
সাকিব মাঠ ছাড়ার সময় তর্কে জড়ান আবাহনীর হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। সেটি উত্তাপ ছড়ায় কয়েকগুণ। এজন্য আবাহনীর পক্ষ থেকে কাঠগড়ায় তোলা হয় সাকিবকেই।
মামুন জানালেন, ‘সাকিব যাওয়ার সময়ই আবাহনীর নামে কটু কথা বলতে বলতে যায়। সেটি নিয়েই তাকে শান্ত করতে গিয়েছিলেন আমাদের কোচ। তবে সে ভুল বুঝে তেড়ে আসে। সেটি মোটেও ভালো দেখায়নি। তবে ঘটনার পর সাকিব দেখা করলে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।’
খুলনা গেজেট/ এস আই