বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে গণতন্ত্র হরণ হয়েছিল। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও লেখার স্বাধীনতা ছিল না। যারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে ভিন্নপথে ক্ষমতালাভের স্বপ্ন দেখছেন তাদের থেকে সজাগ থাকারও আহবান জানান তিনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তেলবাজির কারণে শেখ হাসিনা দানবে পরিণত হয়েছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে, একে বিকশিত করার সুযোগ এসেছে। এজন্য আমাদের অনৈক্য ও বিভেদের কারণে যেন সুযোগ নষ্ট না হয়।
তিনি দীর্ঘদিনের বেকারত্ব দূর করে যোগ্য সাংবাদিকদের যথাযথ জায়গায় স্থান দিয়ে ইউনিয়নকে গতিশীল করার আহবান জানিয়ে বলেন, এজন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। আর নতুন নেতৃত্বের প্রধান ও একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। তাই তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম, বিএফইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন ও ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরের নির্যাতিত ও জুলুমের শিকার সাংবাদিকদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য ইউনিয়নের গতিশীল নেতৃত্ব প্রয়োজন। চাকরীহারা সাংবাদিকদের পুনর্বাসন করা নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব। সুতরাং সদস্যদের কেউ চাকরীহারা হলেই তার সদস্যপদ বাতিল নয়, বরং তার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে ইউনিয়নকে গতিশীল করাও নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব যারাই পালন করতে পারবেন তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়ের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক মুনীর উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও এমইউজে’র সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম টুটুল, বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচ এম আলাউদ্দিন, এমইউজে’র কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান ও সোহরাব হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম শামিমুজ্জামান ও এমএ হাসান, সাবেক নির্বাহী সদস্য খলিলুর রহমান সুমন, সিনিয়র সদস্য মোঃ এরশাদ আলী, স. ম. গোলাম মোস্তফা, শামসুল আলম খোকন, মোঃ জাকিরুল ইসলাম, মাশরুর মুর্শেদ, সাইফুল ইসলাম বাবলু এসএম মাহবুবুর রহমান, এম হেফজুর রহমান, আবুল হাসান শেখ, নাজমুল হক পাপ্পু, আতাহার হোসেন জোয়ার্দ্দার, কামরুল ইসলাম, আবুল বাশার, মাকসুদ আলী, জাহিদ আলমগীর, হুমায়ুন কবির, আমিরুল ইসলাম, খায়রুল আলম, ড. মোঃ ফোরকান আলী, দ্বীন মোহাম্মদ রেজা সোহাগ, মোঃ সেলিম গাজী, মিজানুর রহমান মিলটন, আনিস উদ্দিন, সেখ ইউসুফ আলী, মোঃ আজিজুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম মতি, এমএ জলিল, আহমদ মুসা রঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম নুর, মাহবুবুর রহমান মুন্না, ইয়াসিন হোসেন, কামরুল হোসেন মনি প্রমুখ।
সাধারণ সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য এবং এমইউজে ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক নির্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদের আকষ্মিক মৃত্যুতে তার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন, ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।
পরে সিনিয়র সদস্য হারুন অর রশীদের মৃত্যু এবং এমইউজে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান জিএম রফিকুল ইসলামের অসুস্থতাজনিত কারণে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন(এমইউজে), খুলনার রবিবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
খুলনা এলপি গ্যাস মালিক সমিতি
সিনিয়র সাংবাদিক হারুনার রশীদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ নেতৃবৃন্দরা।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন – সমিতির সভাপতি শেখ মো. তোবারেক হোসেন তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াদুদ আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন জুয়েল, মো. রাকিবুল হাসান, মো. তামান্না, হুমায়ুন কবির আলী, মো. নুর আলম, মো. শামীম খান চান, মো. সম্রাট, মো. আল আমিন, মো. আক্তার হোসেন, মো. রাকিব, হাবিব মোল্লা, মো. হাসিব, মো. মামুন, মো. রুমী, নজরুল ইসলাম বাবু, মো. ইমন, মো. কালু, মো. দেওয়ান, মো. বাশার, মো. রাকিব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম