খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

সাংবাদিক রমজান হত্যা প্রচেষ্টায় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা সুপার ও সাংবাদিক রমজান আলী হত্যা প্রচেষ্টার মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদ ও রিপন সহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে এ অভিযোগ গঠন করেন।

এছাড়া এ মামলার এজার নামীয় ৯ জন আসামির মধ্যে ৬ নং আসামি জিল্লুর রহমান ও ৭নং আসামি আরিফুল ইসলামের নামে আনিত অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

আদালতে যে সকল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত গিয়াসের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার মো. নাহিদ (২৬), বাঁকাল এলাকার আব্দুল গফফারের ছেলে মো. রিপন (২৬), একই এলাকার মো. সাবদুল এর ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (২৭), মৃত আক্কাজ আলীর ছেলে আব্দুল গফফার (৫৫), ইটাগাছা এলাকার মো. মিজানুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম। বাঁকাল এলাকার আব্দুল গফফারের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (৫০) তাদের কন্যা খুকু মনি (২৪)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত বছরের ২৩ অক্টোবর কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদ ও রিপনসহ তাদের গুন্ডাবাহিনী হাতে রাম দা, লোহার রড, ছুরি, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরের বাঁকালস্থ রমজান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। এতে রমজান আলী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করপ। এ সময় তার ডাক চিৎকারে বোন সাজিদা খাতুন, ভাগ্নে ফাহিম সরদার ও রমজানের ছেলে ফারহান ফেরদৌস তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদেরও মারপিট ও গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে আসামি নাহিদ হত্যার উদ্দেশ্যে রমজানের পেটের বাম পাশে পাজরের নিচে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আহতরা সবাই ওই সময়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত রমজান আলীর মেঝ ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলায় ৯ জনের নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে । মামলার আসামিরা প্রায় সবাই দীর্ঘদিন কোরাভোগের পর জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড শাহিনুর রহমান ও এড. আলতাফ হোসেন। এছাড়া এ মামলায় রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড. ওকালত হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন এড. এবিএম সেলিম। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ৬ অক্টোবর পরবর্তী ধার্য দিনে স্বাক্ষ্য গ্রহনের কার্যক্রম শুরু হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!