প্রবীণ সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার, শিশু সংগঠক ও নাট্যকার রফিকুল হক দাদুভাই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর মুগদার নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রফিকুল হকের স্ত্রী। তিনি সবশেষ দৈনিক যুগান্তরের ফিচার এডিটর ছিলেন।
রফিকুল হক বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বছর পর পর দুবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
সুস্থ হয়ে কর্মস্থল যুগান্তরে যোগ দিলেও বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় প্রায় ছয় মাস আগে মুগদার বাসায় পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি স্ট্রোক করেন।
রফিকুল হকের জন্ম ১৯৩৭ সালের ৮ জানুয়ারি। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের কামালকাচনায়। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকেন।
বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দাদুভাই ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একই বছর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কার, নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি যুগান্তরের ফিচার এডিটর ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে ছিলেন। নব্বই দশকে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক রূপালীর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বর্ষীয়ান এ সাংবাদিক। এর আগে দৈনিক জনতার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন দৈনিক লাল-সবুজ, আজাদ, বাংলাদেশ অবজারভারে।
সত্তর দশকে শিশুকিশোরদের জনপ্রিয় ‘কিশোর বাংলা’ নামের সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ‘নিধুয়া পাথার কান্দে’ নামে একটি নাটক লিখেছিলেন তিনি, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ‘বর্গি এলো দেশে’সহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাতটি।
খুলনা গেজেট/এনএম