খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

সাংবাদিক প্রবীর শিকদার খালাস

গেজেট ডেস্ক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার। বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন প্রবীর শিকদার। খালাসের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

এর আগে গত ২২ মার্চ আদালতে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন প্রবীর শিকদারের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল গনী টিটো। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, প্রবীর শিকদার ফেসবুকে মানহানিকর কোনো পোস্ট দেননি। তিনি নির্দোষ।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামিম। যুক্তিতর্ক শুনানিতে তিনি আদালতে বলেন, প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সরকারের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রবীর শিকদারের নামে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়। মামলার বাদী জেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। মামলার পর প্রবীর শিকদারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে কারামুক্ত হন।

মামলা ও আদালতের নথিপত্রের তথ্য বলছে, প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, প্রবীর শিকদার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। শিরোনামের নিচে প্রবীর শিকদার তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন বলে তিনজনের নাম লেখেন। তার মধ্যে ১ নম্বরে ছিল তৎকালীন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, এই পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে, প্রবীর শিকদার ইচ্ছাকৃতভাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্পর্কে মিথ্যা ও অসত্য লেখা লিখে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!