অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যাংকিং খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর ফলে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের জায়গা ছোট হয়ে যাবে। বেসরকারি খাত চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাবে না। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না বলে অভিমত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
বুধবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে ‘বাজেট সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে এ অভিমত তুলে ধরেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪.৬ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; যা মোট ঘাটতির ৫৩.৭১ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি একটি অসামঞ্জস্য প্রাক্কলন। এটি অর্জনযোগ্য নয়।
ড. ফাহমিদা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৬.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এরপর বেসরকারি বিনিয়োগ লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার ফলে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের জায়গা ছোট হয়ে যাবে।
বেসরকারি খাত চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাবে না। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।
সরকারের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে উল্লেখ করে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক এরপর বলেন, সুদের হার বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাত। এখন সুদহার বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে; যদিও সুদহার বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও ছিল না। তার উপরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার ফলে সুদের হার আরও বাড়বে। এতে সরকারের ঋণের বোঝাও আরও বাড়বে।