ঝিনাইদহে সরকারি চাকরির দাবীতে আবারো আমরণ অনশন শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র শাহীন আলম। এখন সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রতিবন্ধি শাহীন আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল কাদেরের ছেলে।
আজ (১৭ জুলাই) রোববার দুপুরে অনশনস্থলে গিয়ে দেখা যায় শাহীন আলম প্রখর রৌদ্রে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। হাত নেড়ে জানান তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার দাবী পুরণ না হলে তিনি এখানেই মৃত্যুবরণ করবেন। শহরের প্রেরণা একাত্তর এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স বিভাগের ছাত্র শাহীন আলম।
তিনি প্রতিবেদককে জানান, ২০১৫-২০১৬ সেশনে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স শেষ করেছেন। দেশে বিদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে অনলাইনে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তার মোট শিক্ষার্থী এখন ২৩৯ জন। সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইনফরমেশন অফিসার, কমিউনিকেশন, টিচার ও ট্রেইনারের সরকারি চাকরির দাবি করেন। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মৃত্যু হলেও সে অনশন কর্মসূচি ভঙ্গ করবে না।
শাহীন আরও জানান, গত ০৯ মে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চাকরির দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছিল। এ খবর শুনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম দুইজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে চাকরীর আশ্বাস দেন। শাহিনকে দুইদিন ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে রেখে ২৫ টাকা হারে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে শিক্ষকতার চাকরির প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখান করেন বাড়ি ফিরে যান। ওই সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি আবারো আমরণ অনশন কর্মসুচী করবেন বলে জানান। ৬৬ দিন পর তিনি আবারও একই দাবিতে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই