সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের ভুল হিসাব জমা দিলে বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তি হবে। এক্ষেত্রে চাকরি থেকে অপসারণের মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে সাংবদ সম্মেলনে সচিব জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণবিধি ১৯৮৯ অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। তবে এই বছরেরটা জমা দিতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এবং সিলগালা খামে করে।
সম্পদের তথ্য জমা না দিলে অথবা ভুল বা মিথ্যা হিসাব জমা দিলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে– এ বিষয়ে সচিব বলেন, লঘুদণ্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে তিরষ্কার করা। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে পদোন্নতি হবে না, আর্থিক ক্ষতি আদায় করা হবে। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পদ থেকে নিচে নামিয়ে দেওয়া, চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর ও অপসারণের মতো পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ফাইনানশিয়াল জায়ান্ট হয়ে গিয়েছিল তারা সতর্ক হবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।’
সম্পদ বিবরণী অতি গোপনীয় তথ্য, তাই এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন প্রযোজ্য হবে না বলে উল্লেখ করেন মোখলেস উর রহমান।
তিনি বলেন, আগে পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ছিল। এখন প্রতি বছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর সবাইকে সম্পদের হিসাব জানাতে হবে।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা পুরোটাই গুজব উল্লেখ করে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান জনপ্রশাসন সচিব।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে