বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন ভেন্টিলেশনে। সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে তা খোলার লোক নাই। এটা খুললে কিন্তু যারা লাইফ সাপোর্টে থাকে তারা সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি বলেন- জনগণের সমর্থনহীন, ভোটার বিহীন ভোট ডাকাতের এই সরকার লাইফ সাপোর্টে ছাড়া অন্য কোনো সাপোর্টে থাকার সুযোগ নাই। এই লাইফ সাপোর্টটা খোলার দায়িত্ব যদি জনগণ হাতে নিয়ে নেয় তাহলে সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র আশু রোগমুক্তির কামনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে করোনার চেয়েও ভয়াবহ এই সরকার। তাদের হাতে দেশের সব লোক আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। সেই রোগটার নাম শেখ হাসিনা। তিনি করোনার চেয়ে ভয়াবহ। এই রোগমুক্তির জন্য তো আমাদের শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে হবে না। রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিধি মেনেই আমাদেরকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করে তা ফেরত আনতে হবে।
তিনি বলেন, আশা করব- এই সরকারের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ খুব আশা-বিশ্বাস করে আছে। আমরা সেদিকে মনোনিবেশ করি, যোগ দেই। আমাদের নিজস্ব প্রাপ্তির কথাগুলো আপাতত স্থগিত রাখি। আমরা গণতন্ত্র আনতে পারলে তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নাই। আজকে আমরা বড়-বড় পদে, বড়-বড় উপাধিতে ভূষিত থাকতে পারব। কিন্তু অধিকারবিহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় বড়-বড় পদ আমাদের জন্য বোঝা হয়। আমাদের জন্য কোনো অহংকারের হয় না, সম্মানেরও হয় না।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহানগর বিএনপির হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এসানুল হুদা, ইশতিয়াক আহমেদ বাবুল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট / নূর