খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে গত শুক্রবার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশের হামলা, লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ চলাকালে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী। প্রেসক্লাব চত্ত্বরে নেতাকর্মীরা আশ্রয় নিলে পুলিশ ঐতিহ্যবাহী খুলনা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট, গ্রেফতার দেখে মনে হয় সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।
রবিবার (২১ মে) বিএনপির মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের এই ভয়াবহ দু:শাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন, উৎপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গনতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণ করছে। নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে। অনাচারের ওপর ভিত্তি করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারের পতন অত্যাসন্ন।
বিবৃতিদাতারা গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ১৩ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহত নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড.
শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। – খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেডি