জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৯ আগস্ট) এ বিষয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গত ১০ আগস্ট আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলেও গত ২২ আগস্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দেখে শর্ত সাপেক্ষে সম্রাটকে জামিন দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আরিফুজ্জামান। জামিনে সম্রাটকে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তাহলো- আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
১১ মে সব মামলায় জামিনের পর মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট বলেন, আইন মেনে জামিন দেয়নি নিম্ন আদালত। ২৪ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেও, তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় নিম্ন আদালত। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস