খুলনার ৫৫ মণের বিশালাকৃতির গরু সম্রাটকে ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আর ৪৫ মণ ওজনের ট্রাম্পকে ৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়। দামে কম পেলেও বিক্রি হওয়ায় খুশি নগরীর দৌলতপরের ফার্ম মালিক শামীম শেখ।
অন্যদিকে বিক্রি হয়নি বড় দাদু ও ছোট দাদু নামের দুটি গরু। ফলে বিপাকে পড়েছেন রূপসার খামারী মো. মাহবুব। বড় গরুর দাম কম হওয়ায় এবং বিক্রি করতে না পেরে অনীহা প্রকাশ করেছে খামারীরা।
নগরীর দৌলতপুর পাবলা মোল্লা বাড়ির মোড়ের মধুমতি ডেইরি ফার্মের মালিক শামীম শেখ বলেন, চট্টগ্রাম হাটহাজারী ও ময়নামতি নামক হাটে ৬টি বড় গরু তুলেছিলাম। সম্রাটের দাম চেয়েছিলাম ১৮ লাখ টাকা। আর ট্রাম্পের দাম চেয়েছিলাম ১৬ লাখ টাকা। তবে এবার গরুর দাম তেমন উঠেনি। দাম কম ছিল। ফলে সম্রাটকে ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ট্রাম্পকে ৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এছাড়া আরও ৬টি গরু বিভিন্ন দামে বিক্রি করেছি।
তিনি বলেন, বড় গরুর চাহিদা কম। দামও কম। মাঝারী ও ছোট সাইজের গরু বেশি বিক্রি হয়। বড় গরু প্রস্তুত করার আর ইচ্ছা নেই। ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা মূল্যের গরু বিক্রি হয় বেশি। এরপর থেকে মাঝারী সাইজের গরু প্রস্তুত করবো।
এদিকে বিক্রি না হওয়ায় ৩২ মণ ওজনের বড় দাদুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে খামারী মো. মাহবুব।
তিনি বলেন, রাজধানীর আফতাবনগর হাটে তুলেছিলাম ‘বড় দাদু’ ও ছোট দাদু নামের দুটি গরু। ১৩০০ কেজি ওজনের বড় দাদুর দাম চেয়েছিলাম ১০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার কেজি ওজনের ছোট দাদুর দাম চেয়েছিলাম ৮ লাখ টাকা। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় দুটো গরুর একটিও বিক্রি করতে পারিনি। দুটি গরু মিলিয়ে দাম উঠেছিল ১১ লাখ টাকা। এরমধ্যে বড় দাদু ৬ লাখ ও ছোট দাদু ৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বাজারে বড় গরুর চাহিদা কম। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে। বড় গরুর দামই উঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়িতে এনেছি।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিতে বড় দাদু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার মনটা খারাপ হয়ে গেছে। হাটে নিতে ও বাড়িতে আনতেই গরুর পেছনে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন খাবার খরচতো আছেই। এই দুটো গরু বিক্রি করতে পারলে বেঁচে যাই। তবে কোন কসাইয়ের কাছে গরু দিব না। গরু সুস্থ থাকলে প্রয়োজনে আগামী বছর হাটে তুলবো।
খুলনা গেজেট/এসজেড