খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা রং বেরঙের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন আর দলীয় প্রতীক নৌকার ছবি নিয়ে সার্কিট হাউজ ময়দানে হাজির হয়েছেন। এর মধ্যে বৈচিত্র্যতা পেয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের সাদৃশ্য কাঠামোগুলো।
নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার আলী আকবর টিপুর সমর্থকরা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের সাদৃশ্য কাঠামো নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। জনসভায় আগত অনেকের দৃষ্টি আকর্ষিত করেছে এ কাঠামোগুলো।
এছাড়া নগর ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছেন অনেকে। সাদা, হলুদ, লাল রঙের টিশার্ট ও টুপি পড়ে বাহারি সাজে সেজেছেন। অনেকেই লাল সবুজের পতাকার রঙে পোশাক পরে নৌকা মাথায় ও হাতে নিয়ে সমাবেশকে সফল করতে এসেছেন। ৫ বছরেরও বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা ঘিরে খুলনা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের নেতাদের। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মহাসমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন তিনি। বিকালে সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
এদিকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা গেজেট/এনএম