বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনে একটু হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নিরস নির্বাচনে রঙ এনেছে একটা অংশ। নির্বাচনকে একপেশে হতে দিতে চায় না সালাউদ্দিন বিরোধীরা। তাই নির্বাচনের মাত্র ১৬ দিন বাকী থাকতে কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর সম্মিলিত পরিষদের বিপক্ষে একটা সমন্বয় প্যানেল গঠন করেছে শেখ আসলাম-মারুফ-মহি পরিষদ। যদিও সভাপতি পদটা অপূর্ণ রেখেই প্যানেল ঘোষণা করেছে এই সমন্বয় পরিষদ।
নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে ১৯ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমঝোতায় এক সিনিয়র সহ সভাপতি, তিন সহ সভাপতি আর ১৫ সদস্য পদপ্রার্থীদের চূড়ান্ত করে প্যানেল দেয়া হয়েছে।
অভিজ্ঞ-নতুন মিশেলে এই প্যানেলের এক সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে টেক্কা দিবেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফে সদস্য শেখ আসলাম। আর চার সহ সভাপতি পদের বিপক্ষে এই প্যানেল দাঁড় করিয়েছেন তিন প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও শেখ মারুফ হাসানকে।
যদিও এমনই একটা প্যানেলই প্রায় খসড়াভাবে চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই প্যানেলের বেশিরভাগ প্রার্থীই এই সমন্বিত প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। তরফদার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এই প্যানেলের কার্যক্রম প্রায় স্তমিত হয়ে যায়। পরে একেবারে শেষ মুহূর্তে সালাউদ্দিন বিরোধীদের নিয়ে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে এই প্যানেলের সদস্যরা। প্রথমদিন আজ সিলেট থেকে শুরু হয়েছে তাদের প্রচারণা। সভাপতি পদে বাদল রায়ের বৈধতা থাকলেও প্রত্যাহার ঘোষণা করায় নির্বাচনে দৃশ্যত শফিকুল ইসলাম মানিকই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে। মানিককে এই সমন্বিত পরিষদে ভেড়াতে না পারায় তাই অপূর্ণ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনের যুদ্ধে নামতে হচ্ছে পরিষদকে।
কেন পুরো প্যানেল দেয়া গেল না সেই ব্যাখ্যা দিলেন জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আশিকুর রহমান মিকু জানান, ‘ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের একটা সমঝোতা হওয়ার কারণে অন্যান্য পদগুলোতে তড়িঘড়ি করে আমরা প্রার্থী দেই নাই।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া বয়সভিত্তিকসহ জেলা লিগ নিয়মিত করার অঙ্গীকার এই প্যানেলের। সভাপতি ছাড়াও এই প্যানেলকে শক্তিশালী মনে করেন সদস্য প্রার্থী ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ‘বিচ্ছিন্নভাবে একত্র হয়েছি আমরা। আমরা মনে করি এটা আরো স্ট্রং হবে। যেটা নাই সেটাই আমরা গড়তে সক্ষম হয়েছি।’
৩ অক্টোবর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম), নির্বাচন (দুপুর ২টা থেকে বেলা ৬টা) ও প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, চারজন সহ-সভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন।
খুলনা গেজেট/এএমআর