সারা দেশে সার্বিক তাপমাত্রা কমায় বাড়ছে শীতের অনুভূতি। এ অবস্থা আরও এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকার পর হতে পারে বৃষ্টি। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের লুকোচুরির দিন শনিবার এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, আজ রাত থেকেই সারা দেশে গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনাসহ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ কেন্দ্রে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে, তবে দেশের অন্য কোথাও তাপমাত্রা দশের নিচে নেই। এ কারণে দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বইছে ধরা যায় না। যদিও শীতের অনুভূতি বাড়ছে।
দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্য কম জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশে রাতের তাপমাত্রা যেখানে ৮.৯ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে, সেখানে শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামে। রাতের সর্বোচ্চের সঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার এ তারতম্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। এমন অবস্থায় দেশে শীতল ভাব থাকে।
দেশজুড়ে শীতল অবস্থা এক সপ্তাহ থাকতে পারে জানিয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২৩ জানুয়ারির দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চ তাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
খুলনা গেজেট/এনএম