সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ১১ জন আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরও রয়েছেন।
ইসলামাবাদ পুলিশের কর্মকর্তা জাফর খান জানান, কারাবন্দি ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে গত রোববার ইসলামাবাদে প্রতিবাদী মিছিল ও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল পিটিআই। কিন্তু সেই কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
“আপাতত তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদেরকে হেফাজতেই রাখা হবে। তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ রয়টার্সকে জানিয়েছেন ফর খান।
জাফর খান জানান, রোববারের ওই কর্মসূচিতে ইসলামাবাদের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা-সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। তবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাকে আসামি করে একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে পাকিস্তানের বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন এবং আদালতে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে কারাগারেই আছেন তিনি।
তবে তার অনুপস্থিতিতেই ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে পিটিআই এবং এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। দেশটির এখনকার পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আসনে রয়েছে পিটিআই।
গত শুক্রবার ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেয় পিটিআই। সেই আল্টিমেটামেরই অংশ ছিল রোববারের বিক্ষোভ কর্মসূচি।
সূত্র : রয়টার্স
খুলনা গেজেট/এনএম