সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়েছে সরকার। বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত সশস্ত্র বাহিনী। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর, উদ্ধারকাজে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে পুরনো রেজিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ সেনাদলের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। তাই সাড়ম্বরে উদযাপন হয় ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ২দিনের এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান ও ১০ম টাইগার্স পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক-এ নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তবে বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রতিরক্ষা বাহিনী। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্সের হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশকে একটা শান্তিপূর্ণ দেশে রূপান্তর করতে চাই। তাই সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ এগুলোর প্রতি আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে নীতি দিয়ে গেছেন সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি। কিন্তু যদি কখনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয় সেটা যেন আমরা মোকাবিলা করতে পারি তার উপযুক্ত সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয়ে ভূমিকাসহ নানা দুর্যোগে সেনাবাহিনীর অবদানকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে সিরিয়া ও তুরস্কে যে ভায়াবহ ভূমিকম্প হলো সেখানেও আমরা যে সহযোগিতা প্রেরণ করেছি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা সেখানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার কার্য পরিচালনা করছে। কাজে সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
বিশ্বমন্দা এড়াতে সবাইকে ফসল উৎপাদনে এগিয়ে আসারও আহবান জানান সরকার প্রধান।
সরকার প্রধান বলেন, আমি চাই আমাদের সকলে প্রত্যেকটি নাগরিক তার যা, যেখানে, যতটুকু জমি আছে বা সুযোগ আছে যে যা পারেন উৎপাদন করবেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল সেনাসদস্যদের।
খুলনা গেজেট/ এসজেড