নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে নিজের সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড মা। নিহত কিশোর হলেন, রাজু হোসেন। এ অভিযোগে পুলিশ নিহত রাজুর মাকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) এ ঘটনায় বাবা আনোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় লিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিপি আক্তার দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা ও লতিফের মেয়ে। নিহত রাজু স্থানীয় একটি স্ক্রিন প্রিন্টের কারখানায় কাজ করত। গত সাত মাস আগে কর্মস্থলে অনিয়মিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে নিহতের উল্লেখ করেন, ১৮ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। ১৩ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর মাঝে তাদের রাইয়ান হোসেন ও রাজু হোসেন (১৪) নামে দুই ছেলের জন্ম হয়।
বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছে থাকতো সন্তানেরা। ১৩ নভেম্বর রাতে লিপি অজ্ঞাত ২-৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজুর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময়ে রাজুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে তাকে প্রথমে সদর জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। ১৮ নভেম্বর বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে রাজুর মৃত্যু হয়।
তবে রাজুর মায়ের পরিবারের দাবি, রাজু নিজের গায়ে নিজেই কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, এ ঘটনা মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।