সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৫ আগস্ট) হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।
সমন্বয়ক হাসনাত তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও ফেসবুক কমেন্টে জানান, ‘এসব করাচ্ছে এনামুল হক শামীম, শরিয়তপুর আসনের সাবেক এমপি। তার বড় ভাই এই আনসারের ডিজি ছিলেন। এবং এই সব আনসার তার ভাইয়ের রিক্রুটেড।’
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসা আনসার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস ও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আমরা তিন উপদেষ্টা এবং অন্যান্য সহকর্মী সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এখন থেকে আনসারে কোনো ‘রেস্ট প্রথা’ থাকবে না। একই সঙ্গে অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। এই কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব।
আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা
আনসারে ‘রেস্ট প্রথা’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি তিন বছর চাকরির পর আনসার সদস্যদের ছয় মাস রেস্টে থাকা লাগে। এই ছয় মাস পর তারা আবার জয়েন করেন। এই ছয় মাস তাদের খুব মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। নিয়োগ বিধিমালা থেকে এই প্রথা বাতিল করে কীভাবে তাদের চাকরিতে রেগুলার করা যায়, সে প্রক্রিয়ায় কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ আনসারদের মধ্যে চারজন প্রতিনিধি নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা একটি সুপারিশ দেবেন।
এ সময় তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু একটি কমিটি হয়েছে, সেহেতু বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের একটি জাতীয় সংকট চলছে। আমাদের অনেকদিকে কাজ করা লাগছে। এই দুর্যোগকালীন সময়েও এই সুপারিশ কমিটি সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। আনসার ভাইদের যে সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধানে আমরা পৌঁছাব।
খুলনা গেজেট/কেডি