খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বই সংশোধন হচ্ছে

গেজেট ডেস্ক

তিনটি নয়, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব কটি বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।

সংশোধনীগুলোর সফট কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা তা হাতে পাবে ঈদের পর ছুটি শেষে।

আগামী বছর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাশাপাশি মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত বই লেখার কাজ শুরু হয়নি। গেলবারও দেরিতে বই লেখার কারণে ভুল-অসংগতি ছিল। এবারও দেরি হতে থাকায় একই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে গত ১ জানুয়ারি থেকে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে অন্যান্য শ্রেণিতে।

আগামী বছর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অভিন্ন বই পড়তে হবে। আর একেবারে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিভাগ বিভাজন হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে ইতিমধ্যে চালু হওয়া তিন শ্রেণির বইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যদিও নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরই পাঠ্যপুস্তকের ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ওই দুটি বইয়ের নাম একই। এনসিটিবি জানিয়েছিল, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়েরও কিছু অধ্যায় সংশোধন করা হবে। তিনটি বইয়ের সংশোধনী ‘শিগগিরই’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হবে। কিন্তু মার্চ শেষ হলেও সংশোধনী দিতে পারেনি এনসিটিবি।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, পরিমার্জন করে বইগুলো সংশোধনের কাজটি শেষ পর্যায়ে। এখন সাজানো গোছানোর কাজ চলছে। তারা ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩টি এবং সপ্তম শ্রেণির ১৩ টি বই সংশোধন করেছেন। এগুলোতে এ বছরের জন্য বানান ভুলসহ তথ্যগত যেসব ভুল সংশোধন করা দরকার তা করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। সংশোধনীর সফট কপি পাঠানো হবে। বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে মাউশির সংযোগ আছে, তাই মাউশির মাধ্যমে সংশোধনীগুলো পাঠানো হবে। তবে আগামী বছর আরও পরিমার্জন (সংযোজন-বিয়োজন) করে দেওয়া হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই।

গত শনিবার (১মার্চ) এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমে বলেছেন, শিগগিরই শুরু হবে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই লেখার কাজ।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিতর্কের মুখে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!