নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিক ও প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আউয়াল সুমন, মো. আবদুল মোমেন, কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন, মো. তানভীর আহাম্মেদ, উথোয়াই চিং রোয়াজা ও বিধান দেবনাথ। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে কাদের মির্জার হাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহ লাঞ্ছিতের ঘটনায় সন্ধ্যায় বামনিতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা ঝাড়ু মিছিল বের করেন। পরে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিকের নেতৃত্বে তাদের সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একশ/দেড়শ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জের ৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কোনো পক্ষকেই নৌকা প্রতীক দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।