বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদসহ প্রাচীনতম নিদর্শন দেখতে ছুটির দিনে বেড়েছে কয়েকগুণ দেশী বিদেশী দর্শনার্থী। শনিবার (০২ মার্চ) ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকেই নানা বয়সী দর্শনার্থীদের পথচারণায় মূখর হয়ে উঠে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এদিন প্রায় ৬ হাজার দর্শনার্থী আসছেন ষাটগম্বুজ মসজিদসহ প্রাচীনতম নিদর্শন দেখতে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
শুধু ষাটগম্বুজ মসজিদ নয়, খানজাহান (রহ.) মাজার, বাগেরহাটের চন্দ্রমহল, সুন্দরবন রিসোর্ট, পৌর পার্কসহ মুনিগঞ্জ ও দড়াটানা সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসব বিনোদন কেন্দ্রে এসেছেন দর্শনার্থীরা। বিনোদন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন শিশুরা।
গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে ষাটগম্বুজ মসজিদে ঘুরতে আসা রিতা আকতার বলেন, পাঠ্য বইতে পড়েছি বাগেরহাট হলো মসজিদের শহর। এত বছরের প্রাচীন সব মসজিদ দেশের কোথাও দেখা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছে ছিল ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে বাগেরহাটে আসার। কিন্তু সময় করতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করে এবার সবাই মিলে আসলাম, প্রাচীনকালের মসজিদ দেখে খুব ভাল লেগেছে।
রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে আসা রুহুল আমিন বলেন, অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো, তাই ছুটির দিন সকালে বন্ধুরা মিলে রওনা হয়ে আসলাম। প্রাচীন আমলের ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে অনেক ভাল লেগেছে। পরিবেশটাও ভাল, মসজিদে নামাজ পড়ে অনেক প্রশান্তি পেয়েছি। এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী দেখে আরও বেশি ভাল লাগলো। এরপরে পরিবারের সকলকে নিয়ে আসবো বলে জানান এই দর্শনার্থী।
ঐতিহাসিক স্থান দেখতে রাজশাহী থেকে আসা অনিতা রায় বলেন, চাকুরীর কারণে সময় করে আসতে পারি না। তবুও ভাবলাম দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা দরকার। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর এখন যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো। তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে আসলাম। ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখলাম, খানজাহানের মাজার দেখলাম। অনেক ভালো লেগেছে। ষাটগম্বুজ মসজিদসহ প্রাচীন আমলের নিদর্শন দেখে মুগ্ধ বলে জানান তিনি।
প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মোঃ যায়েদ বলেন, শীতও কমে গেছে, তাই ছুটিতে ষাটগম্বুজ মসজিদসহ জেলার ঐতিহাসিক এসব স্থাপনা গুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। তবে শুক্রবার ছুটির দিনেও বেড়েছে কয়েকগুণ দর্শনার্থীর সংখ্যা। জনবল কম থাকায় দর্শনার্থী নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এসব পর্যটকদের জন্য ২০ জন আনসার সদস্য ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম