আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কাজুড়ে চলমান অস্থিতিশীলতার অবসান চায় বাংলাদেশ। ঢাকা চায় দ্রুতই প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। বুধবার (১১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এটা নিয়ে আমরা এখনও আলোচনা করিনি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা চাই সব জায়গায় শান্তি হোক। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে স্থিতিশীলতা আসুক। আমরা সব দেশে স্থিতিশীলতা চাই।
বিশ্বের স্থিতিশীলতার ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের স্থিতিশীলতার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। দেখেন, আমেরিকার-ইউরোপের বাজার ভালো থাকলে আমাদের গার্মেন্টস ভালো থাকে। মধ্যপ্রাচ্য যদি উন্নত হয় আমাদের লোকগুলো সেখানে যেতে পারে। দুনিয়ার সব দেশে স্থিতিশীলতা থাকলে ভালো। আমাদের অর্থনীতি ইন্টারডিপেন্ডেন্ট। সেজন্য আমরা চাই, সব জায়গায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি।
শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ কোনো সহযোগিতা করবে কিনা-জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কিছু ওষুধ পাঠাচ্ছি। খাদ্য পাঠানোর বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ওরা আমাদের বন্ধু দেশ। তারা আমাদের থেকে যে ঋণ নিয়েছে এক বছর সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কার অবস্থায় বাংলাদেশ পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমার মনে হয় না। এগুলো একেবারে অলীক। এটার কোনো সম্ভবনা নেই। কারণ আমরা ঋণের ব্যাপারে খুব হিসাব-নিকাষ করে নেই। আমরা খুব একটা ঋণ নেই না। ঋণ যেখান থেকেই নেই, আমরা খুব হিসাব-নিকাষ করে নেই। আমাদের সর্বমোট ঋণের পরিমাণ ১৬ থেকে ১৭ পারসেন্ট।
মোমেন বলেন, আমাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনাই হয় না। তাদের মানুষ ২১ মিলিয়নের মতো। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন। আমাদের এক্সপোর্ট বড়। ৪০ বিলিয়ন ডলারের, এটা বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, আমাদের বড় আয় হচ্ছে রেমিটেন্স। তাদের রেমিটেন্স খুবই কম।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে আলাপ হয়েছে। যে প্রসেসটা ওনারা শুরু করেছিলেন, ত্রিপক্ষীয় এটা অনেক দিন ধরে আটক আছে। এখনতো মিয়ানমার মোর একোমোডেটিভ। সো আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। আমরা চাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটা শুরু হোক।