শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে যাচ্ছে নুন্যতম ৩২ সদস্যের বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল। সফরে তারা জাতীয় দলের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবে। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে মুশফিক-মুমিনুলরা যে হোটেলে থাকবেন এইচপি দলও একই হোটেলে থাকবে। অনুশীলন সুবিধাও থাকছে একই। এদিকে লঙ্কা সফরের আগে জাতীয় দলের মত তাদেরও দেশে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যাদের বাসা ঢাকাতে তাদের নমুনা যার যার বাসায় গিয়ে সংগ্রহ করবে বিসিবি। আর যাদের ঢাকায় বাসা নেই তাদের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে এনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যারা নেগেটিভ হবেন কেবল তারাই ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়।
তিনি বললেন, ‘জাতীয় দল এএচপি দল একই সঙ্গে হোটেলে থাকবে। যেহেতু একসাথে অনুশীলন করবে, জাতীয় দলের সঙ্গে এইচপির ম্যাচ হবে। এখান থেকেই আমরা সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাটা এইচপি এবং জাতীয় দলের একসঙ্গেই করে নিচ্ছি। এইচপির যারা ঢাকায় নিজের বাসায় থাকে তাদের বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং একই সময় বাকিদের ক্রিকেট একাডেমিতে এনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ভাগে ভাগে, সবাইকে একসঙ্গে না। পজিটিভ, নেগেটিভ ওই রিপোর্টের ওপরেই ক্যাম্পে যোগ দিবে। যাদের নেগেটিভ আসবে, ন্যাচারালি তারাই ক্যাম্পে যোগ দিবে। তো আমরা সম্ভাব্যদের যারা আছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করব, ওখান থেকে চূড়ান্ত নির্বাচন হবে।’
শ্রীলঙ্কা সফরে এইচপি দল নুন্যতম ২৩ সদস্যের হবে উল্লেখ করে দুর্জয় আরো বলেন, ‘আমাদের এইচপির যে ২৪-২৫ জন বা ২৬ জনের স্কোয়াড হবে পুরো স্কোয়াডটাই যাবে। কিন্ত সিরিজ যখন খেলি তখন তো পুরো স্বোয়াড থাকে না। কাজেই বাদ বাকিরা এমনিতেই ফেরৎ চলে আসবে।’
প্রায় বছর হতে চলেছে এইচপি দলের হেড কোচ নেই। গেল বছর এইচপি কার্যক্রম শেষ হতেই বিদায় নিয়েছিলেন সাইমন হেলমট। করোনার কারণে নতুন কোচও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দুর্জয় বললেন, হেড কোচ নিয়োগের কাজ তারা চূড়ান্ত করেছেন।