লক্ষ্যটা ছিল তিনশ ছাড়ানো। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭০ পেরোনোর আগেই চলে গিয়েছিল চার উইকেট। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন দাসুন শানাকা। চলতি শতাব্দীতে শ্রীলঙ্কার মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে করেছিলেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি।
মঙ্গলবার পাল্লেকেল্লেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ রানে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জেতা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সমতা টেনেছে তারা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো ও রেজিস চাকাভা। ২৮ বলে ২৬ রান করে কাইতানো ও ৫০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন চাকাভা।
তাদের বিদায়ের পরও খেই হারায়নি জিম্বাবুয়ের ইনিংস। শেন উইলিয়মসের সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ৫৬ বলে ৪৮ রান করে উইলিয়ামস ফিরলে এই জুটি ভাঙে। অন্যদিকে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েছিলেন আরভিন। ১০ চারে ৯৮ বলে ৯১ রান করে থিকসানার বলে বোল্ড হন তিনি।
শেষদিকে ৪৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন সিকান্দার রাজা। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জেফরি ভেন্ডারসি।
জিম্বাবুয়েকে জবাব দিতে নেমে ৬৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। অনেকটা একাই লড়াই করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু ৪৫তম ওভারে টেন্ডাই চাতারার বলে তিনি ফিরে গেলে কার্যত শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের আশা। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে শানাকা করেন ৯৪ বলে ১০২ রান।
শেষ অবধি নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।