ফুতবলকলম্বোয় ফিরে এলো মালের ঘটনা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি। বাংলাদেশের তপু বর্মণ পেনাল্টি মিস করলেও শ্রীলঙ্কার ওয়াসিক রাজ্জাক মিস করেননি। ৯০ মিনিটে তার পেনাল্টি থেকে করা গোলে শ্রীলঙ্কা জিতল ২-১ গোলে। এই জয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সমান চার পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধান হলেও শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি গোল দেয়ায় ১৯ নভেম্বর স্বাগতিকরা সিশেলসের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ড্র। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে চাপে রাখে। ৫০-৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ টানা ছয়টি কর্নার আদায় করে। গোলরক্ষক সুজন পেরেরার অসাধারণ সেভ ডিফেন্ডারদের গোললাইন সেভে বাংলাদেশ ৭২ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ছিল। ৭৩ মিনিটে জুয়েল রানা বক্সের ভেতর ফাঁকা বল পান। গোলরক্ষকের পায়ের নিচ দিয়ে প্লেসিং করে বল জালে পাঠান।
ম্যাচের বাকি সময় দশ জন নিয়ে খেলা শ্রীলঙ্কাকে আরো গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮৯ মিনিটে শ্রীলঙ্কা থ্রো ইন পায়। সেই থ্রো ইন বাংলাদেশের বক্সে হ্যান্ডবল হয়। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। বাংলাদেশের ফুটবলাররা প্রতিবাদ করলেও রেফারির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি। আনিসুর রহমান জিকোর পায়ে লেগেই রাজিকের পেনাল্টি শট গোল হয়।
চতুর্থ রেফারি মাত্র চার মিনিট ইনজুরি সময় দেখান। দ্বিতীয়ার্ধে লঙ্কান ফুটবলাররা অনেক সময় নষ্ট করেন। সেই হিসেবে চার মিনিট খুবই কম।
ভারী বর্ষণে রেসকোর্স মাঠ এমনিতেই ভারী। এর উপর দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ায় অত্যন্ত কঠিন অবস্থা মাঠের। সেই মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুতে আক্রমণ করতে থাকে শ্রীলঙ্কা। কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। ২৬ মিনিটে ওয়াসেক রাজ্জাক বক্সে জটলার মধ্যে প্লেসিং করেন। ভারী মাঠে বলের গতি প্রকৃতি বুঝতে পারেননি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ পায়। জামাল ভূইয়ার কর্ণার থেকে বাংলাদেশের আক্রমণ লঙ্কান ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে সেভ করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করেন। রেফারি পেনাল্টির পাশাপাশি লাল কার্ড দেখান। বাংলাদেশ দলের পেনাল্টি স্পেশালিস্ট তপু বর্মণের নেয়া পেনাল্টি শট পোস্টের অনেক উপর দিয়ে যায়।
ভারী মাঠে শ্রীলঙ্কান ফুটবলাররা কয়েকবার আহত হয়েছেন। লঙ্কান দুই ফুটবলার মাঠও ছেড়েছেন আহত হয়ে। বাংলাদেশের ফুটবলাররাও নিজেদের ভারসাম্য রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।