খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

শ্রীলঙ্কাকে ১০৫ রানে আটকে দিল আফগানিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে নিঃশ্বাস নেয়ারই সময় নেয়নি আফগানিস্তান। শুরু থেকেই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় আফগানিস্তান। যদিও শেষ দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে লঙ্কানদের সংগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে দেন চামিকা করুনারত্নে।

এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং নেয় আফগানিস্তান। বল হাতে নেমেই দুই ওভারের মধ্যে লঙ্কানদের তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। সেই চাপ থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এশিয়া কাপের এবারের আসরের আয়োজকরা।

এর মধ্যে প্রথম ওভারেই পর পর দুই বলেই কুশাল মেন্ডিস ও চারিথা আশালাঙ্কার উইকেট তুলে নেন আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি। দ্বিতীয় ওভারে এসে পাথুম নিশাঙ্কাকে ইনসাইড এজ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন নাভিন উল হক।

এই আউটটি নিয়েই শুরু হয়েছিল ধোঁয়াশা। আফগান ফিল্ডারদের জোড়ালো আবেদনে আউট দেন আম্পায়ার। যদিও রিভিউ নেন লঙ্কান এই ব্যাটার। টিভি রিপ্লেতে কোনো স্পাইক না পাওয়া গেলে নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যান বোলার ও ব্যাটাররা।

যদিও সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিশাঙ্কাকে আউট দেন থার্ড আম্পায়ার। সাইড বেঞ্চে বসে থাকা চামিকা কারুনারত্নে প্রকাশ্যেই দুই হাত ছড়িয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। সবাই অবাক হলেও আফগান শিবিরে এই উইকেট উৎসবের মুহূর্ত এনে দিয়েছে।

মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর লঙ্কানদের হাল ধরেন দানুশকা গুনাথিলাকা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দলীয় ৪৯ রানে গুনাথিলাকা ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। মুজিব উর রহমানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তিনি উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন করিম জানাতের কাছে ক্যাচ দিয়ে।

হাসারাঙ্গাকেও বিদায় করেছেন মুজিব। ৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করে তিনি মাঠ ছেড়েছেন। লঙ্কান দলপতি দাসুন শানাকা কোনো রান না করেই মোহাম্মদ নবির কুইকার ডেলিভারিতে রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। পরের দুই উইকেটের কৃতিত্ব দিতে হবে আফগান ফিল্ডারদের।

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা ভানুকা রাজাপাকশে রান আউট হয়েছেন নবির দারুণ থ্রোতে। তার ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। পরের বলেই মাহিশ থিকশানাও হয়েছেন রান আউট। এবার গুরবাজের থ্রোতে উইকেট ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

মাথিশা পাথিরানাকে বেশিদূর এগোতে দেননি নবি। ব্যক্তিগত ৫ রানে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। শেষ দিকে দ্রুত কিছু রান করেছেন চামিকা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। ৩১ রান করা চামিকাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেন ফারুকি। চামিকার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!